ভারতে ১২ বছরের পুরানো মামলায় ৩৪ মুসলিমকে কারাদণ্ড

উসামা মাহমুদ

0
577

গত ১৩ ডিসেম্বর মঙ্গলবার মধ্যপ্রদেশ রাতলামের একটি দায়রা আদালত ১২ বছরের পুরানো এক দাঙ্গার মামলায় ৩৪ জন মুসলিমকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে। দাঙ্গার ঘটনাটি ৩ সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাতে ঘটেছিল।

মঙ্গলবার শুনানির সময়, অতিরিক্ত সেশন জজ লক্ষ্মণ কুমার ভার্মা ১২ বছরের পুরানো দাঙ্গা মামলায় ৩৪ মুসলিমকে বিভিন্ন ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে। যার মধ্যে IPC-এর 147, 148, 150, 353, 332, 427, 435 এবং 34 অন্তর্ভুক্ত রয়েছে এবং ৫ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে।

পাবলিক প্রসিকিউটর তরুন শর্মা বলেছে, এই মামলায় মোট ৩৮ জন আসামি ছিল। যার মধ্যে ২ আসামি বিচার চলাকালীন মারা গেছে। ৩৪ জনকে দোষী সাব্যস্ত করা করা হয়েছে। একজনের বিরুদ্ধে এখনও শাস্তি ঘোষণা করা হয়নি।

৩৫ জনের মধ্যে ২১, ২২, ২৪ বছরের ছেলেরাও অন্তর্ভুক্ত; অথচ দাঙ্গার সময় তাদের বয়স ছিল ৯, ১০, ১২। তাহলে কি ৯, ১০, ১২বছরের বাচ্চারা দাঙ্গা করতে পারে? নাকি এতে করে এটাই প্রমাণ হচ্ছে যে, হিন্দুত্ববাদীদের সাজান আদালত শুধু মুসলিম হওয়ায় তাদেরকে মনগড়া শাস্তি দিচ্ছে?

এদিকে গোধরা ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ করার মিথ্যা অভিযোগে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ফারুক নামে এক মুসলিম যুবকের জামিন মঞ্জুর করেছে আদালত, তবে ১৭ বছর জেলে কাটানোর পর।

২৭ ফেব্রুয়ারী, ২০০২-হিন্দুত্ববাদী নেতা কর্মীদের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার ফলে অযোধ্যা থেকে করসেবকদের বহনকারী সবরমতি এক্সপ্রেসের S-6 কোচের ভিতরে আগুন লেগে ৫৮ জন নিহত হয়েছিল। গোধরা হত্যাকাণ্ড গুজরাটে মুসলিম গণহত্যার সূত্রপাত করে। গণহত্যার সময় ২০০০ জনেরও বেশি মুসলমানকে হত্যা করা হয়েছিল। আর এই ঘটনার প্রেক্ষিতেই ঐ মুসলিমের সাজা হয়েছিল যাবজ্জীবন! মরেছেও মুসলিম, সাজাও পেয়েছে মুসলিম- এই হচ্ছে মুসলিমদের প্রতি হিন্দুত্ববাদীদের ‘ন্যায়বিচার’।



তথ্যসূত্র :
———
1. Ratlam riots case: Sessions court convicts 34 persons, sentences them to 5 years imprisonment
https://tinyurl.com/3nb6zc24
2. Muslim youth spent 17 years in jail for ‘stone-pelting Godra train’ gets bail
https://tinyurl.com/3jvb7ujy
3. 35 convicted in 12-year-old riot
https://tinyurl.com/mrx5pb9w

মন্তব্য করুন

দয়া করে আপনার মন্তব্য করুন!
দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

পূর্ববর্তী নিবন্ধপাক-তালিবানে আরও ৩ প্রতিরোধ বাহিনীর যোগদান: দেশজুড়ে বাড়ছে হামলার তীব্রতা
পরবর্তী নিবন্ধআফগানিস্তানের অর্থনীতি পুনর্গঠনে ইসলামি ইমারতের কৌশলী কার্যক্রম