পশ্চিম আফ্রিকার দেশ মালির উত্তরাঞ্চলে জাতিসংঘের দখলদার বাহিনীর উপর একটি হামলা চালিয়েছেন আল-কায়েদা সংশ্লিষ্ট ইসলামি প্রতিরোধ যোদ্ধারা। এই হামলায় ৩ সেনা নিহত হওয়ার কথা স্বীকার করেছে জাতিসংঘ।
স্থানীয় সূত্রমতে, গত ২১ ফেব্রুয়ারি স্থানীয় সময় সকাল ৯:৩০ মিনিটের দিকে এই হামলার ঘটনাটি ঘটে। সূত্রমতে, জাতিসংঘের সামরিক কনভয়টি যখন একটি অস্থায়ী সামরিক ঘাঁটি থেকে সেভারি শহরের দিকে ফিরছিল, তখন উত্তরাঞ্চলীয় মোপ্তি রাজ্যের বান্দিগাড়া এলাকার একটি সড়কে সেটি হামলার শিকার হয়।
সূত্র জানায়, আল-কায়েদা সংশ্লিষ্ট জামা’আত নুসরাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমিনের (জেএনআইএম) মুজাহিদিন কর্তৃক একটি শক্তিশালী আইইডি (বোমা) বিস্ফোরণের মাধ্যমে হামলাটি চালানো হয়েছিল। এর ফলে জাতিসংঘের একটি সাঁজোয়া যান মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সেসময় ঐ সাঁজোয়া যানে থাকা জাতিসংঘের অন্তত ৩ সৈন্য নিহত এবং আরও ৫ সৈন্য আহত হয়।
তবে নিহত সেনাদের জাতীয়তা এখানো প্রকাশ করেনি জাতিসংঘ।
উল্লেখ্য যে, ২০১৩ সালে জাতিসংঘ মালি যুদ্ধে নিজ মিত্র দেশগুলোর হাজার হাজার সেনা নিয়ে অংশগ্রহণ করে, যার মাধ্যমে এই সম্মিলিত সেক্যুলার-লিবারেল জোট বাহিনী মালিতে প্রতিষ্ঠিত হতে যাওয়া ইসলামি শাসনব্যবস্হাকে প্রতিহত ও বিলম্বিত করে।
সেই থেকে মালিতে মুজাহিদগণ দখলদার আগ্রাসী রাষ্ট্রগুলোকে টার্গেট বানানোর পাশাপাশি জাতিসংঘের সামরিক বাহিনীকেও নিজেদের সামরিক টার্গেটে পরিণত করেছেন। এতে জাতিসংঘের অসংখ্য সৈন্য নিহত এবং আহত হয়।
এই মিশনে দখলদার আগ্রাসী জোটের পক্ষে বাংলাদেশের সেনাবাহিনীও অংশগ্রহণ করেছে।
তবে ইতিমধ্যে এই যুদ্ধে মুজাহিদদের হামলার ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হওয়ায় জাতিসংঘ মালিতে তাদের এই আগ্রাসনকে সবচাইতে মারাত্মক মিশন হিসেবে বিবেচনা করেছে।
