উত্তর বুরকিনা ফাঁসোতে আল-কায়েদার হামলা : হতাহত ২৮ এর বেশি শত্রুসৈন্য

আলী হাসনাত

1
1075

উত্তর বুরকিনা ফাসোতে এক সপ্তাহে পরপর দুটি সফল হামলা চালিয়েছে আল-কায়েদা (জেএনআইএম)। এতে অন্তত ২৮ এর বেশি সৈন্য নিহত এবং আরও এক ডজনেরও বেশি সৈন্য আহত হয়েছে। হামলার এই ঘটনাগুলি দেশের মধ্য-উত্তর অঞ্চলের বাম প্রদেশের সংঘটিত হয়েছে বলে জানা গেছে।

দেশটির সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, গত ৩০ আগস্ট বাম প্রদেশের নামসিগুইয়া জেলার কাছে একটি সামরিক কনভয় টার্গেট করে হামলা চালানো হয়েছে। যখন সেনারা এসকর্ট মিশনে বের হয়েছিল। হামলাটি একটি বিস্ফোরক ডিভাইস দ্বারা চালানো হয়েছে। যাতে সৈন্যদের বহনকারী একটি গাড়ি লক্ষবস্তুতে পরিণত হয়। ফলশ্রুতিতে ঘটনাস্থলেই ১৫ সৈন্য নিহত হয়েছে।

এরপর ঘটনাস্থলে যখন উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনার জন্য অন্য একটি সেনা ইউনিট একত্রিত হয়, তখন দ্বিতীয় একটি ডিভাইস দূর থেকে সক্রিয় করা হয়। যার ফলে অসংখ্য সেনা সদস্য হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। তবে দ্বিতীয় বিস্ফোরণে কতজন হতাহত হয়েছে, তা সঠিকভাবে উল্লেখ করেনি দেশটির সামরিক বাহিনী।

কোনো গোষ্ঠী তখন হামলার দায় স্বীকার করেনি। তবে সেনাবাহিনী জানিয়েছে যে, আল-কায়েদা সংশ্লিষ্ট জামা’আত নুসরাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমিন (জেএনআইএম) হামলাটি চালিয়ে থাকতে পারে। আর এই হামলার তদন্ত চলমান আছে।

ঐ সপ্তাহেই বাম প্রদেশের আরেকটি অতর্কিত হামলা চালায় সশস্ত্র ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনী জেএনআইএম। যাতে সেনাবাহিনীর ৪ সদস্য এবং আধাসামরিক বাহিনীর আরও ৯ সৈন্য নিহত হয়।

উল্লেখ্য যে, বুরকিনা ফাঁসোর সামরিক সরকার চলতি বছরের জানুয়ারিতে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা গ্রহণ করে। যার মাধ্যমে সেনাবাহিনী প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রচ মার্ক ক্রিশ্চিয়ান কাবোরকে অপসারণ করে। ক্ষমতায় আসার পর সামরিক সরকার ঘোষণা করে যে, তারা দেশ থেকে আল-কায়েদা সংশ্লিষ্ট ইসলামি প্রতিরোধ যোদ্ধাদের সমূলে উৎখাত করবে। কিন্তু পরিস্থিতি বলছে ভিন্ন কথা। কেননা সেনাবাহিনী ক্ষমতা নেয়ার পর দেশে আরও শক্তিশালী হয়ে উঠেছে আল-কায়েদা।

জুন মাসে পশ্চিম আফ্রিকা ভিত্তিক “ইকোওয়াস” সংস্থা এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে যে, সরকার বুর্কিনা ফাঁসোর মাত্র ৬০ শতাংশ অঞ্চল নিয়ন্ত্রণ করছে। বাকি ৪০ শতাংশ অঞ্চল এখন জিহাদিদের (আল-কায়েদা যোদ্ধাদের) নিয়ন্ত্রণে। যেখানে তাঁরা একটি ছায়া সরকার গঠন করে অঞ্চলগুলি পরিচালনা করছেন।

১টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

দয়া করে আপনার মন্তব্য করুন!
দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

পূর্ববর্তী নিবন্ধআসামে উচ্ছেদ অভিযানের নামে গোটা মুসলিম গ্রাম ধূলিসাৎ : মুসলিম উচ্ছেদের ভবিষ্যৎ প্রভাব কি?
পরবর্তী নিবন্ধরোহিঙ্গাদের ওপর নতুন করে নির্যাতনের আশংকা