সম্প্রতি রাখাইনের মংডুতে রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর নতুন করে নিপীড়ন চালানো হচ্ছে বলে খবর পাওয়া গেছে। সেনাবাহিনী ও আরাকান আর্মির মধ্যে চলমান সংঘাতের বাহানায় মিয়ানমার কৌশলে রোহিঙ্গাদের রাখাইন থেকে বিতাড়িত করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি গ্রামের রোহিঙ্গাদের এলাকা ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
জানা যায়, এলাকাটিতে মিয়ানমারের ৯ হাজার সেনা সদস্য অবস্থান নিয়েছে। রোহিঙ্গা সংখ্যাগরিষ্ঠ অন্য এলাকাগুলোতেও বিপুলসংখ্যক সেনা সদস্য মোতায়েন করা হচ্ছে। এরইমধ্যে গত আগস্ট মাসে থেকে মংডুতে রোহিঙ্গাদের চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। বুচিডংয়ে রোহিঙ্গারা রাস্তায় বের হলে সেনা ও বিজিপি সদস্যদের মারধরের শিকার হচ্ছে। জোর করে অর্থ আদায় করা হচ্ছে। রোহিঙ্গাদের গ্রাম ছেড়ে অন্যত্র চলে যেতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
মংডুতে বসবাসরত কয়েকজন রোহিঙ্গা মোবাইল ফোনে অভিযোগ করে বলেন, আরাকান আর্মির সঙ্গে যুদ্ধের বাহনা করে রোহিঙ্গাদের বিতাড়িত করতে চাইছে মিয়ানমার। সেনা সদস্যরা তাদের এলাকাগুলো একে একে ঘিরে ফেলছে। ফেরিসহ সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এ অবস্থায় রোহিঙ্গা মুসলিমদের মধ্যে আতংক ছড়িয়ে পড়েছে।
মিয়ানমারের বৌদ্ধ সেনারা হাজার হাজার রোহিঙ্গা মুসলিমকে হত্যা করেছে। নারীদের ধর্ষণ করেছে। প্রানে বাঁচতে লাখ লাখ রোহিঙ্গা নিজেদের বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে শরনার্থী হয়েছে। মিয়ানমারের সেনারা যুগ যুগ ধরে রোহিঙ্গাদের ওপর এমন নির্যাতন চালানোর পরও বিশ্ববাসীর কেউ কোন পদক্ষেপ নেয়নি।
ইসলামি চিন্তাবিদরা বলছেন, রোহিঙ্গারা মুসলিম হওয়ায় তাদের পক্ষে কেউ অবস্থান নেয়নি। ফলে তাদের ওপর যখন যেভাবে ইচ্চা নির্যাতন চালিয়েছে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। এ অবস্থায় আরাকানের মুসলিমসহ নির্যাতিত মুসলিম উম্মাহকে রক্ষা করতে হলে মুসলিমদের নববী সন্নাতের অনুসরণ করে নিজেদের আত্মরক্ষা নিজেরাই করতে হবে বলে জানিয়েছেন তারা।
তথ্যসূত্র:
——-
1. Fear of new Rohingya influx-
– https://tinyurl.com/2p8hhzpn
এখন থেকে সকল মুসলিম উম্মাহ জেগে উঠতে হবে
এই ঘুমন্ত জাতির ঘুম ভাঙবে কবে?
আমাদের নির্যাতিত রোহিঙ্গা ভাইদের উচিত হলো আরারান আর্মিদের সাথে যোগ দিয়ে নিজেদের আত্মরক্ষা করা। জিহাদের বায়াআত নেওয়া।
মুহতারাম ভাই, আরাকান আর্মি হলো বুদ্ধ আরাকানি জাতিয়তাবাদীদের নিয়ে গঠিত। এটি মূলত চীনের প্রক্সি হিসেবে ভূমিকা পালন করে। আর আরাকান আর্মি অনেকটা জোর করে রোহিঙ্গা মুসলিমদের কাছ থেকে কর আদায় করে থাকে, মিয়ানমার আর্মিও একই কাজ করে।
সেখানে রোহিঙ্গা মুসলিমদের নিয়ে গঠিত জিহাদি দল হল ARSA (আরাকান রোহিঙ্গা সেলভেসশন আর্মি) উনারা সেখানে অনেক আক্রমন করেন মাশাআল্লাহ। আরাকান আর্মির সাথে তাদের অনেক অমিল।