ভারতে উগ্র হিন্দুদের পাশাপাশি মিথ্যে অভিযোগে মুসলিমদের অন্যায়ভাবে খুন করছে হিন্দুত্ববাদী প্রশাসন।তারই ধারাবহিকতায় এবার আসামের নগাঁও প্রশাসন গত ২২-০৫-২২ রবিবার মাছ ব্যবসায়ী সফিকুল ইসলামকে পিটিয়ে খুন করেছে।
গত ২০-০৫-২২ শুক্রবার সন্ধ্যায় শিবসাগরের উদ্দেশ্যে বাসে উঠতে যাওয়ার সময় আসাম পুলিশ বিনা অপরাধে তাকে আটক করেছিল।
ইসলাম পরিবার জানিয়েছে, পুলিশ তাকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য ১০,০০০ টাকা এবং একটি বড় ধরণের হাঁস ঘুষ দাবি করে। ইসলামের স্ত্রী বলেন, আমরা গরীব এত টাকা কোথায় পাব। আর আমরা কেবল একটি হাঁস পালতাম। দাবিকৃত ঘুষের টাকা দিতে না পারায় হিন্দুত্ববাদী পুলিশ তাকে পিটিয়ে খুন করে। ইসলামের স্ত্রীকে বলা হয়েছিল যে তার স্বামীকে নগাঁও সিভিল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। পরে সেখানে গিয়ে তিনি তাকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান।
পুলিশি হেফাজতে মৃত্যুর ঘটনায় বাটাদ্রবা থানায় মুসলিমরা প্রতিবাদ জানাতে জড়ো হয়। আর হিন্দুত্ববাদী ভারতে এটাই প্রতিবাদকারী মুসলিমদের কাল হয়ে দাঁড়ায়। গাযের জোরে ক্ষমতার অপব্যবহার করে মুসলমানদের বাড়িগুলো বুলডোজার দিয়ে ভেঙে হিন্দুত্ববাদী প্রশাসন।
এমনকি খুন হওয়া সফিকুল ইসলামের বাড়িও ভেঙে দিয়েছে হিন্দুত্ববাদী জেলা প্রশাসন।
সালনাবাড়ি এলাকার বাসিন্দারা বলেছেন যে জেলা প্রশাসন এবং পুলিশ প্রায় সাতটি বাড়ি ভেঙে দিয়েছে। তারা আরো জানিয়েছেন, হিন্দুত্ববাদী কর্তৃপক্ষ কোন নোটিশও জারি করেনি এবং ধ্বংস অভিযান চলাকালীন মুসলিমদের এলাকায় প্রবেশ করতে দেয়নি। ফলে মুসলিমদের বাড়িঘর ভাঙ্গার পাশাপাশি বহু মূল্যবান জিনিসপত্রের ব্যাপক ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, হিন্দুত্ববাদী ভারত মুসলিমদের এতো এতো মানবাধিকার লঙ্ঘন করার পরও কথিত আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের এমন নিশ্চুপ থাকাটা এটাই প্রমাণ করে যে, মুসলিমদের স্বাধিকারের ব্যপারে তাদের কোন পরোয়া নেই। তাই যা কিছু করার মুসলিমদেরই করার আহ্ববান জানিয়েছেন বিজ্ঞ বিশ্লেষকগণ।
তথ্যসূত্র:
—–
1. Assam: Govt demolishes house of Muslim man day after killed in police custody
– https://tinyurl.com/bdd3yzjy