মালির উত্তরাঞ্চলে মিশরীয় মুরতাদ সেনাদের উপর দুটি পৃথক বোমা হামলা চালিয়েছে ‘জিএনআইএম’ মুজাহিদিন। যার একটিতেই ১ সৈন্য নিহত ও আরো ২ সৈন্য আহত হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে প্রদত্ত তথ্য মতে, গত দু’দিনে জাতিসংঘের কথিত ‘শান্তিরক্ষী’ বাহিনীর সাথে যুক্ত মিশরীয় মুরতাদ সৈন্য ও মিনোসুমা জোট বাহিনীকে লক্ষ্য করে বেশ কয়েকটি আক্রমণ চালানো হয়েছে।
এর মধ্যে প্রথম আক্রমণটি গত ১৫ জানুয়ারী সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে, উত্তর মালির কাইদাল শহরে আন্তর্জাতিক ক্রুসেডার মালিকানাধীন একটি বিমান সংস্থাকে টার্গেট করে চালানো হয়েছিল। হামলাটি হস্তনির্মিত কয়েকটি বিস্ফোরক যন্ত্র দিয়ে চালানো হয়েছিল বলে জানা গেছে। এই হামলায় এখন পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতির কোন পরিসংখ্যান জানা যায় নি।
দ্বিতীয় আক্রমণটি মালিতে ক্রুসেডার জাতিসংঘ মিশনের সাথে যুক্ত মিশরীয় মুরতাদ সেনাবাহিনীকে লক্ষ্যবস্তু করে চালানো হয়েছিল। (জাতিসংঘের আর্থিক বহুমাত্রিক স্থিতিশীল মিশন / মিনোসুমা)। গত ১৫ জানুয়ারীর বিকাল ৫ টার দিকে, টেসালিট শহরের একটি সড়কে মিশরীয় বাহিনীর একটি লজিস্টিক কনভয়কে লক্ষ্যবস্তু করে বিস্ফোরক দ্বারা উক্ত হামলাটি চালানো হয়েছিল।
সর্বশেষ আক্রমণটিও গাও শহরে মিশরীয় উক্ত কাফেলার সেনা সদস্যদের বহনকারী একটি সামরিকযান লক্ষ্য করে চালানো হয়েছিল। গত ১৬ জানুয়ারি শনিবার এই হামলাটি চালানো হয়। স্থানীয় গণমাধ্যমগুলোর তথ্যমতে, উপরুক্ত ৩টি অপারেশন আল-কায়েদা (জিএনআইএম) যোদ্ধারা পরিচালনা করেছে।
এসব হামলায় মোট হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য এখনো প্রকাশ করা হয়নি। তবে মালিতে জাতিসংঘ মিশন ‘মিনোসুমা’ শুক্রবার পরিচালিত একটি হামলার বিষয়ে বিবৃতি দিয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে, টেসালিট শহরের কাছে লজিস্টিক কাফেলার উপর চালানো হামলায় এক মিশরীয় সৈন্য নিহত এবং আরো ২ মিশরীয় মুরতাদ সৈন্য গুরুতর আহত হয়েছে।
এটি লক্ষণীয় যে, সম্প্রতি মালির গাও, মুপ্তি ও কাইদাল রাজ্যে আক্রমণের সংখ্যা বাড়িয়েছে আল-কায়েদা শাখা জামা’আত নুসরাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমিন। আর এসব অঞ্চলে আল-কায়েদা শাখাটির (জিএনআইএম) সম্প্রতি পরিচালিত কয়েকটি হামলায় ক্রুসেডার ফ্রান্স এবং জাতিসংঘের ‘মিনোসুমা’ জোট বাহিনীর বহু সেনা সদস্য নিহত ও আহত হয়েছে।
