ভিডিও সংবাদ

শাবাবের দুঃসাহসী হামলা ও ঘাঁটি নিয়ন্ত্রণের নতুন ভিডিও নিয়ে উপস্থিত “আল-কাতায়েব” মিডিয়া

ত্বহা আলী আদনান

ফেব্রুয়ারি ১, ২০২৩

6445

হারাকাতুশ শাবাব আল-মুজাহিদিন প্রশাসনের অন্যতম মিডিয়া “আল-কাতায়েব” সম্প্রতি নতুন একটি ভিডিও রিলিজ করেছে। নতুন এই ভিডিওটিতে দেশের কেন্দ্রীয় হিরান রাজ্যের বারাদার অঞ্চলে সোমালি স্পেশাল ফোর্সের সামরিক ঘাঁটিতে শাবাব যোদ্ধাদের পরিচালিত একটি আক্রমণ এবং তা নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার হৃদয় জুড়ানো দৃশ্যগুলো অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ভিডিওটির ফুটেজ প্রদর্শন করতে প্রায় ৫ মিনিট সময় নেয়েছে।

সূত্রমতে, ভিডিওতে ধারণকৃত অভিযানটি গত বছরের ১১ নভেম্বর ফজরের কিছুক্ষণ আগে শুরু করে ফজরের কিছুক্ষণ পর পর্যন্ত চলতে থাকে। হারাকাতুশ শাবাব মুজাহিদিন অন্ধকারের মধ্যেই ঘাঁটির দিকে অগ্রসর হন এবং দিনের শুরুতেই ঘাঁটির নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার আগ পর্যন্ত গাদ্দার বাহিনীর সাথে প্রচণ্ড লড়াইয়ে অবতীর্ণ হন। আক্রমণের এমন সব উত্তেজনায় পূর্ণ ফুটেজ দিয়েই ভিডিওটি শুরু করা হয়েছে। শুরুর ফুটেজে সোমালি বিশেষ বাহিনীর মৃতদেহ, সামরিক সরঞ্জাম এবং সেনাদের অবস্থানের ছবি দেখানো হয়েছে, যা ততক্ষণে হারাকাতুশ শাবাব যোদ্ধাদের নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে।

ভিডিওতে আরও দেখানো হয়েছে, দাশাকা অস্ত্রে সজ্জিত শাবাব যোদ্ধারা সামরিক যান জব্দ করছেন, তাঁরা ঘাঁটিতে অবাধে চলাচল করছেন এবং ঘাঁটিতে থাকা অবশিষ্ট সামরিক যানগুলিতে আগুন ধরিয়ে দিচ্ছেন।

জানা যায় যে, হারাকাতুশ শাবাব যোদ্ধাদের বীরত্বপূর্ণ এই হামলায় পশ্চিমা সমর্থিত সোমালি বিশেষ বাহিনীর অন্তত ৩১ সৈন্য নিহত হয়েছিল, তাদের মধ্যে কিছু সেনার মৃতদেহ ঘাঁটিতে পড়ে থাকতেও দেখা গেছে। এই বিজয়ে হারাকাতুশ শাবাব মুজাহিদিন ঘাঁটি থেকে সাঁজোয়া যান, যানবাহন, সামরিক ট্রাক এবং প্রচুর পরিমাণে অস্ত্র, গোলাবারুদ সহ ৯টি গাড়ি গনিমত পেয়েছিলেন।

উল্লেখ্য যে, আল-কায়েদা সংশ্লিষ্ট ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনী হারাকাতুশ শাবাব আল-মুজাহিদিন পশ্চিমা-সমর্থিত সোমালি সরকার এবং একে সমর্থনকারী আন্তর্জাতিক জোটের নেতৃত্বকে বিব্রত করতে সোমালি বিশেষ বাহিনী, সরকারী মিলিশিয়া এবং আন্তর্জাতিক জোট বাহিনীর ঘাঁটিগুলিতে আক্রমণ এবং এর নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর প্রায়শই এসব অভিযানের নথি ও ভিডিও প্রকাশ করে থাকেন।

এর মাধ্যমে হারাকাতুশ শাবাব সোমালি সরকারের সামরিক ব্যর্থতা ও তাদের মিথ্যা দাবিগুলো তুলে ধরেন। একই সাথে মুজাহিদগণ এই বার্তাও দিয়ে থাকেন যে, মুজাহিদদের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য সরকারকে দেওয়া অর্থ, অস্ত্র এবং সমস্ত ধরণের সামরিক সরঞ্জাম, হারাকাতুশ শাবাবের জন্য গণিমতে পরিণত হচ্ছে।

সবশেষে হারাকাতুশ শাবাব প্রশাসনের দীর্ঘ এই যুদ্ধের লক্ষ্য হচ্ছে, পশ্চিমাদের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত সোমালি সরকারকে উৎখাত করা, এটিকে সমর্থনকারী আন্তর্জাতিক জোট বাহিনীকে বিতাড়িত করা, গণতন্ত্র সহ পশ্চিমা আধিপত্যের মূলোৎপাটন করা এবং একটি স্বাধীন ও সম্পূর্ণ ইসলামী শরিয়া ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা।