সময়ের সাথে সাথে যেন সোমালিয়ার জিহাদ আরও তীব্র আকার ধারণ করছে। একদিকে পশ্চিমা সমর্থিত সরকার তার অস্তিত্ব রক্ষার জন্য লড়ছে, অপরদিকে প্রতিরোধ বাহিনী আশ-শাবাব সোমালিয়া জুড়ে ইসলামি ইমারাত প্রতিষ্ঠার জন্য লড়ছেন। আর এই লক্ষ্য সোমালিয়ায় নিয়োজিত পশ্চিমাদের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের টার্গেট করে হত্যা করতে শুরু করেছে হারাকাতুশ শাবাব আল-মুজাহিদিন।
স্থানীয় গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, হারাকাতুশ শাবাব মুজাহিদিন গতকাল ৮ ফেব্রুয়ারি বুধবার, মাত্র ১২ ঘন্টার ব্যবধানেই রাজধানী মোগাদিশুতে ২টি সফল হামলা চালিয়ে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা CIA এবং সোমালি সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা মোট ৩ গাদ্দারকে হত্যা করতে সক্ষম হয়েছেন।
হারাকাতুশ শাবাবের স্পেশাল ফোর্সের সদস্যরা প্রথম দফায় তাদের সুনির্দিষ্ট অপারেশনটি পরিচালনা করেন রাজধানীর ড্রাকিনলি জেলায়। এই হামলায় ‘সান্দেরি এবং মাহদ আভদেরি’ নামক দুই মুরতাদ নিহত হয়, যারা উভয়ই পশ্চিমা সমর্থিত মুরতাদ সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ছিলো। একই সাথে তারা ক্রুসেডার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইন্টেলিজেন্স (সিআইএ) বিভাগের গুরত্বপূর্ণ কর্মকর্তা, জুবাল্যান্ডের প্রতিমন্ত্রী এবং পার্লামেন্টের ডিপুটি হিসেবে দায়িত্বরত ছিলো।
এরমধ্যে মুরতাদ “সান্দেরি” মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার জন্য গুপ্তচর নিয়োগের ক্ষেত্রে আমেরিকানদের কাছে গুরত্বপূর্ণ কর্মকর্তা হিসেবে পরিচিত ছিলো। সে জুবা রাজ্যে হারাকাতুশ শাবাবের বিরুদ্ধে কয়েক ডজন গুপ্তচর নিয়োগও করেছিল। তাবে আমেরিকার জন্য দুঃখজনক হলো, হারাকাতুশ শাবাবের গোয়েন্দা বিভাগ এই গুপ্তচরদের বেশিরভাগ সদস্যকেই বন্দী করতে পেরেছেন এবং বাকিদেরকে দ্রুত আটক করার জন্য অনুসরণ করে যাচ্ছেন।
হারাকাতুশ শাবাব আল-মুজাহিদিন তাদের দ্বিতীয় সফল অভিযানটি চালান রাজধানীর হুদান জেলায়। এখানে হারাকাতুশ শাবাবের শিকারে পরিণত হয় “আভদেরি ডেলবি” নামক আরও এক মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা। সেও সান্দেরির মতো সিআইএর জন্য গুপ্তচর নিয়োগ করতো এবং মুসলিমদের সম্পর্কে আমেরিকাকে তথ্য প্রদান করতো। আমেরিকার এই গোলাম সোমালি পুলিশের কথিত অপরাধ তদন্ত বিভাগের সদস্য ছিলো।
আলহামদুলিল্লাহ, হারাকাতুশ শাবাবের বীর যোদ্ধারা সান্দেরী, ডেলবি এবং মাহদ আফদেরিদেরকে তাদের পাওনা বুহিয়ে দিয়ে বৈশ্বিক কুফরি শক্তি আমেরিকার গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ’র গালে চপেটাঘাত করেছেন।
উল্লেখ্য যে, আল-কায়েদা সংশ্লিষ্ট ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনী হারাকাতুশ শাবাব আল-মুজাহিদিন মুসলিম জাতির অখণ্ডতা রক্ষা করতে, ইসলামি শরিয়াহ্ বাস্তবায়ন করতে, ক্রুসেডার ও তাদের সমর্থিত গাদ্দার সরকারি বাহিনী এবং অন্যান্য ইসলামবিরোধী শক্তি থেকে মুসলমানদের আবাস রক্ষা করতে পবিত্র জিহাদ চালিয়ে আসছেন। আর এই লক্ষ্য বাস্তবায়নে হারাকাতুশ শাবাব প্রশাসন মুসলমানদেরকে শত্রু ঘাঁটি, সদর দফতর এবং সরকারি অফিস থেকে নিরাপদ দূরে থাকতে বলছেন। কেননা এসব স্থানগুলো হারাকাতুশ শাবাবের দুঃসাহসী হামলাগুলোর প্রধান টার্গেটে পরিণত হয়ে থাকে।
