ফিলিস্তিনের জিহাদ || আপডেট ‌‌- ২৯ জানুয়ারি, ২০২৪

- সাইফুল ইসলাম

0
121

গাজা শহরে ৬ বছর বয়সী এক মেয়েকে উদ্ধার করতে চেষ্টা করছিল ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির একদল উদ্ধার কর্মী। ইসরায়েলি হামলায় মেয়েটির ৬ জন আত্মীয় নিহত হয়েছে। আর ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে মেয়েটি আটকে গেছে একটি গাড়িতে। যে উদ্ধারকর্মীরা মেয়েটিকে উদ্ধারে গিয়েছিল, তাদের সাথেও এখন যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি।

ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের সাহায্য বিষয়ক জাতিসংঘের সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ। এই সংস্থার কিছু কর্মী ৭ই অক্টোবরের হামলায় জড়িত বলে অভিযোগ তুলে ইসরায়েল। এরপর ৯টি দেশ এই সংস্থায় অর্থ প্রদান করা বন্ধ করে দেয়। ডক্টরস উইদাউট বর্ডার নামে সংগঠনটি পুনরায় অর্থ প্রদান শুরু করার আহ্বান জানিয়েছে দেশগুলোকে।

নতুন করে যুদ্ধবিরতি চুক্তি ও বন্দীবিনিময় নিয়ে আলোচনা হচ্ছে বলে জানিয়েছে কাতার ও যুক্তরাষ্ট্র।

দখলদার ইসরায়েলের হামলায় গাজায় এখন পর্যন্ত অন্তত ২৬,৬৩৭ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৬৫,৩৮৭ জন।

ইয়েমেনি সশস্ত্র হুতি শিয়া বাহিনী এডেন উপসাগরে ‘লেওয়িস বি. পোলার’ নামে একটি মার্কিন নৌ-জাহাজকে লক্ষ্য করে জাহাজবিধ্বংসী মিসাইল নিক্ষেপ করেছে।

২৯শে জানুয়ারি জায়োনিস্ট বাহিনীর উপর ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ যোদ্ধাদের হামলার বিবরণ:

আল-কাসসাম ব্রিগেড:

তেল আবিবে রকেট হামলা চালিয়েছেন।
খান ইউনিসের পশ্চিমে জুরা আল-আকাদ এলাকায় ইয়াসিন ১০৫ দিয়ে জায়োনিস্ট বাহিনীর একটি সামরিক ডি৯ বুলডোজারে হামলা চালিয়েছেন। বুলডোজারটি ঘিরে ছিল দখলদার সৈন্যরা।

আল-কুদুস ব্রিগেড:

গাজার উত্তরপশ্চিমে সুদানিজ এলাকায় ইসরায়েলি বাহিনীর প্রধান লজিস্টিকেল সাপোর্ট পয়েন্টে রকেট, ভারী মর্টার এবং বদর-১ IRAM রকেট হামলা চালিয়েছেন। এই স্থান থেকেই দখলদার বাহিনী তাদের সামরিক যান রক্ষণাবেক্ষণ এবং তাদের সৈন্যদের জন্য পানি, খাবার এবং জ্বালানি সরবরাহ করে থাকে।
খান ইউনিসে জায়োনিস্ট বাহিনীর সাথে মেশিনগান এবং অ্যান্টি-আর্মর গোলা দিয়ে যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছে।
খান ইউনিসের পশ্চিমে একটি ভবনে অবস্থান নেওয়া একদল জায়োনিস্ট স্নাইপারকে একটি গাইডেড মিসাইল দিয়ে হামলা করেছেন।
‘ছাক’য়েব-ব্যারেল’ নামে একটি উচ্চ বিস্ফোরণ ক্ষমতাসম্পন্ন বিস্ফোরক দিয়ে একটি জায়োনিস্ট মারকাভা ট্যাংক ধ্বংস করেছেন আল-কুদুস ব্রিগেডের যোদ্ধারা। খান ইউনিসের পশ্চিমে হাসান সালাম মসজিদের পাশে এই হামলা চালানো হয়।
খান ইউনিসের পশ্চিমাঞ্চল এবং মধ্যাঞ্চলে জায়োনিস্ট সৈন্য এবং সামরিক যানের উপর মর্টার হামলা করেছেন।

মুজাহিদিন ব্রিগেড:

গাজা শহরের উত্তরপশ্চিমাঞ্চলে একদল জায়োনিস্ট সৈন্যের উপর রকেট হামলা করেছেন।

আল-আকসা শহীদি ব্রিগেড:

জায়োনিস্ট বাহিনীর সাথে বিভিন্ন যুদ্ধময়দানে উপযুক্ত যুদ্ধাস্ত্র নিয়ে লড়াই করেছেন।
খান ইউনিসের পশ্চিমে একটি জায়োনিস্ট সামরিক যানে আরপিজি দিয়ে হামলা করেছেন।

উমার আল-কাসিম বাহিনী:

আল শিফা হাসপাতালে দিকে অগ্রসর হওয়ার সময় একদল জায়োনিস্ট বাহিনীর সাথে লড়াইয়ে লিপ্ত হয়েছেন।
বাতন আল-সামিন এবং আল-আমাল এলাকায় জায়োনিস্ট বাহিনীর সাথে সংঘর্ষে জড়িয়েছেন এবং দখলদারদের একটি সামরিক যানে আরপিজি দিয়ে হামলা করেছেন।
খান ইউনিসের বিভিন্ন জায়গায় জায়োনিস্ট বাহিনীর সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছেন।

মন্তব্য করুন

দয়া করে আপনার মন্তব্য করুন!
দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

পূর্ববর্তী নিবন্ধএবার উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের গণপিটুনির শিকার একজন ইমাম
পরবর্তী নিবন্ধআফগানিস্তানের ব্যাপারে পশ্চিমা বিশ্বের ডাবল স্ট্যান্ডার্ড নীতি: মৌলভী আব্দুল কবির হাফিযাহুল্লাহ