পাকিস্তানের সঙ্গে চলমান উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে ভারতকে ইসরায়েলের মতোই দীর্ঘমেয়াদি প্রতিশোধমূলক কৌশল গ্রহণের পরামর্শ দিয়েছে মার্কিন নিরাপত্তা বিশ্লেষক মাইকেল রুবিন। সে এনডিটিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উচিত ইহুদিবাদী (সন্ত্রাসীদের অবৈধ) রাষ্ট্র ইসরায়েলের সাবেক প্রধানমন্ত্রী গোল্ডা মেয়ারের নীতি অনুসরণ করা।
১৯৭২ সালে মিউনিখ অলিম্পিকে ১১ ইসরায়েলি ক্রীড়াবিদ নিহত হলে ইহুদিবাদী দখলদার পক্ষ “অপারেশন র্যাথ অব গড” নামে একটি বর্বরোচিত অভিযান শুরু করে। গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে থাকা ফিলিস্তিনি নেতা ও কর্মীদের গুপ্তহত্যা করে কুখ্যাত ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ। এখন, মাইকেল রুবিন ভারতকে একই পথে চলার পরামর্শ দিচ্ছে, যা মুসলিম বিশ্বের জন্য অশনিসংকেত।
উগ্র হিন্দুত্ববাদী মোদি সরকার ইতিমধ্যে ঘোষণা দিয়েছে , “ভারত পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তে গিয়ে সন্ত্রাসীদের(!) ও তাদের মদদদাতাদের শাস্তি দেবে।” এই বক্তব্যকে অনেকেই গোল্ডা মেয়ারের ঘোষণার সঙ্গে তুলনা করছেন। তবে বিশ্লেষকরা মনে করেন, মোদি সরকারের এই রণকৌশল আসলে কাশ্মীরি মুসলমানদের দমন-পীড়নের নতুন অধ্যায়ের সূচনা করবে।
ইসরায়েলের ইতিহাস হলো ফিলিস্তিনি নিরীহ জনগণের রক্তে রঞ্জিত এক অধ্যায়। গাজা ও পশ্চিম তীরে দখলদার ইহুদি রাষ্ট্র ইসরায়েলের নির্মমতা এখনও বিশ্বজুড়ে নিন্দিত। রুবিনের পরামর্শ অনুযায়ী, যদি ভারত ইসরায়েলের পথে যায়, তাহলে দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তির সম্ভাবনা আরও ক্ষুণ্ণ হবে।
ভারতের উগ্র হিন্দুত্ববাদী সরকার কাশ্মীরি মুসলমানদের অধিকার কেড়ে নিয়ে সেখানে সামরিক শাসন চাপিয়ে দিয়েছে। অন্যদিকে, ইসরায়েল ফিলিস্তিনিদের ভূমি দখল করে তাদের নির্মূল করার ষড়যন্ত্র করছে। উভয় রাষ্ট্রই পাশ্চাত্যের মুসলিমবিরোধী যুদ্ধে লিপ্ত।
কথিক সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলার নামে ভারত যদি ইসরায়েলের মতো রক্তপিপাসু নীতি গ্রহণ করে, তাহলে তা দক্ষিণ এশিয়ার শান্তি-স্থিতিশীলতার জন্য ভয়ঙ্কর হুমকি হয়ে দাঁড়াবে। মুসলিম বিশ্বকে অবশ্যই এই ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে এবং কাশ্মীর ও ফিলিস্তিনের নির্যাতিত মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে।
তথ্যসূত্র:
1. Exclusive: PM Modi Should Emulate Israel’s Golda Meir Over Pak Terror, Says Expert
-https://tinyurl.com/3npnwmrk
