মোগাদিশুর উপকণ্ঠে সরকারি বাহিনী ও আশ-শাবাবের তুমুল লড়াই

আলী হাসনাত

1
1098

সোমালিয়ার রাজধানী মোগাদিশুতে গত ৪ সেপ্টেম্বর সকালে সোমালি গাদ্দার বাহিনী মুজাহিদগণের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করলে তীব্র লড়াই শুরু হয়। এতে মুজাহিদগণের প্রতিরোধের মুখে গাদ্দার বাহিনী জানমালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে।

জানা যায়, রাজধানীর উপকন্ঠে অবস্থিত আশ-শাবাবের শরিয়া আদালতগুলো হটানোর উদ্দেশ্য নিয়ে ৪ঠা সেপ্টেম্বর সকালে অভিযান পরিচালনা করে সোমালি গাদ্দার বাহিনী। এই অভিযানে সোমালি গাদ্দার সামরিক বাহিনীর পাশাপাশি অংশ নিয়েছে ‘আসমুদ’ মিলিশিয়ারাও। যেখানে আশ-শাবাবের বিরুদ্ধে স্থল আক্রমণ থেকে শুরু করে আকাশ পথেও হামলা চালানো হয়। কিন্তু ইসলামের শত্রুরা তাদের সম্মিলিত শক্তি খরচ করেও মুজাহিদদের সামনে ময়দানে টিকে থাকতে পারেনি। সর্বশেষ গাদ্দার সামরিক বাহিনী ও মিলিশিয়ারা আজ দুপুরে পিছু হটতে বাধ্য হয়।

আশ-শাবাব সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, মুজাহিদরা পূর্বেই জানতে পেরেছিলেন যে, গাদ্দার বাহিনী আশ-শাবাব নিয়ন্ত্রিত বসরা এলাকায় হামলা চালাবে। তাই মুজাহিদরা শত্রু বাহিনী আসার আগেই যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হয়ে যান। আর শত্রু বাহিনী এলাকার উপকন্ঠে আসামাত্রই মুজাহিদরা হামলা করে বসেন। যা পরে তীব্র আকার ধারণ করে।

আশ-শাবাব নিশ্চিত করেছে, ডিএফ ও মিলিশিয়ারা ৯ বার উক্ত এলাকায় ঢুকার চেষ্টা করেছে। কিন্তু প্রতিবারেই মুজাহিদরা তীব্র আক্রমণের মাধ্যমে শত্রুদেরকে মোক্ষম জবাব দিয়েছেন। সর্বশেষ মুজাহিদরা গতকাল ৬ সেপ্টেম্বর দুপুরে শত্রুসারি ভেঙে দিয়ে তাদেরকে বসরা এলাকা ছেড়ে পালাতে বাধ্য করেছেন। মুজাহিদগণের এই প্রতিরোধ যুদ্ধে গাদ্দার বাহিনীর অফিসারসহ প্রচুর সংখ্যক সৈন্য হতাহত হয়েছে। ধ্বংস হয়েছে তাদের অর্ধডজন সাঁজোয়াযান ও গাড়ি।

একইদিনে মুজাহিদরা মোগাদিশুর দিকে তুর্কী প্রশিক্ষিত গরগর এবং NISA নামে পরিচিত মিলিশিয়াদের তাড়া করেছেন। এসময় স্পেশাল ফোর্সের বেশ কিছু সেনা হতাহত হয়। পরে শত্রুসেনারা নিজেদের ঘাঁটিতে গিয়ে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়।

১টি মন্তব্য

  1. ২০২৪ সালে সোমালিয়ায় ইসলামী শরীয়াহ প্রতিষ্ঠিত হবে ইনশাল্লাহ। সম্প্রতি London এর Channel 4 এ প্রকাশিত হয়েছে সোমালিয়ান যুবক আন্দোলনের তথ্য বহুল ইন্টারভিউ এবং তাদের শাসিত এলাকার বর্তমান চিত্র।
    https://youtu.be/KVSw0E9Y1RI
    সেদেশ সম্পর্কে অনেক অজানা তথ্য জানতে পারলাম।
    তাদের কার্যক্রম আফগান ছাত্রদের থেকেও থেকেও ভালো মনে হয়েছে, নারী শিক্ষার উপর তারা অযথা হস্তক্ষেপ করেনি ফলে নারী শিক্ষার ক্ষেত্রে পশ্চিমারা প্রশ্ন তুলতে পারবে না। ২০২৪ সালে বিদেশী সেনারা সোমালিয়া ছেড়ে যাওয়ার কথা রয়েছে! ভিডিওটার বাংলা ডাবিং কারো কাছে থাকলে দেন অথবা বাংলা ডাবিং করুন।

মন্তব্য করুন

দয়া করে আপনার মন্তব্য করুন!
দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

পূর্ববর্তী নিবন্ধসোমালিয়ায় ফের ৫ মার্কিন গুপ্তচরের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর
পরবর্তী নিবন্ধইউপি-তে জামে মসজিদকে মন্দির দাবি ও পূজার অনুমতি চেয়ে আবেদন